এবিজি বসুন্ধরার সহযোগিতায় ওমরাহ করে ফিরলেন তৃতীয় কাফেলার ২৭ মুসল্লি
এবিজি বসুন্ধরার সহযোগিতায় সৌদি আরবের মক্কা-মদিনায় পবিত্র ওমরাহ হজ পালন শেষে তৃতীয় কাফেলার ২৭ জন মুসল্লি দেশে ফিরেছেন। নিজস্ব অর্থায়নে তাদের এ সুযোগ করে দিয়েছেন এবিজি বসুন্ধরার চেয়ারম্যান সায়েম সোবহান আনভীর।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) ভোর ৪টা ২৫ মিনিটে বাহরাইন এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। তারা সৌদি আরবে ১৪ দিন অবস্থান করেন এবং ওমরাহ পালন শেষে দেশটির বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান ঘুরে দেখেন। তৃতীয় ধাপে ওমরাহ পালন করে আসা হাজিরা তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তারা গত ৫ জানুয়ারি ওমরাহ হজ পালনের উদ্দেশে ঢাকা থেকে মক্কা-মদিনায় রওনা হয়েছিলেন।
কাফেলায় আসা আব্দুল মান্নান ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রুফ রিডার। দেশের বাড়ি ঝালকাঠি। তিনি বলেন, আমার ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছা ছিল মক্কা-মদিনায় যাওয়ার। মক্কা-মদিনায় যাওয়া মানুষের প্রয়োজন। এটা বুঝতে পারলাম এ ১৪ দিনের সফরে। সেখানে মানুষের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও কোরআনের সার্বক্ষণিক আমল হয়। আমার মদিনায় কোরআন খতম দেওয়ার ইচ্ছা ছিল। মদিনায় আমি কোরআন পড়েছি ২৮ পারা আর বাকি দুই পারা পড়েছি মক্কায়। অর্থসহ শেষ করেছি কোরআন পড়া। কোন আয়াতে কী মেসেজ, তা আমি লিখেছি। আমার নিয়ত আছে, ‘ইম্পরট্যান্ট মেসেজ অফ কোরআন’ নামে একটি বই লেখার। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, হজের ব্যবস্থাপনায় সায়েম সোবহান আনভীর সাহেবকে প্রাণভরে কৃতজ্ঞতা জানাই।
ওমরাহ কাফেলায় ছিলেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মার্কেটের ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বাবুল ব্যাপারী। তিনি বলেন, অনেক ইচ্ছা থাকলেও মক্কা ও মদিনা যেতে পারব, কখনো ভাবিনি। মক্কা-মদিনায় যাওয়ার পরে আমার একটি হাদিসের কথা বারবার মনে পড়ছিল, হারুনুর রশিদ বাদশার কথা মনে পড়ছিল। ওই বাদশাহ প্রতিবছর ২০০ মানুষকে হজে পাঠাতেন।
তিনি আরও বলেন, সায়েম সোবহান আনভীর ব্যবস্থা করে আমাদের হজে পাঠিয়েছেন। আমি মক্কা-মদিনায় দোয়া করেছি, আল্লাহ যেন হারুনুর রশিদ বাদশাহর মতো তাকে (সায়েম সোবহান আনভীর) বানায় দেন। বাংলাদেশের মানুষ যেন তার মাধ্যমে আল্লাহর ঘর দেখতে পারে।
কাফেলার আরেক মুসল্লি ঘড়ির দোকানি জাহাঙ্গীর চৌধুরী বলেন, ওমরাহ পালনের মধ্য দিয়ে ২৭ জনের জীবনে অনেক পরিবর্তন এসেছে। আমার ছেলে কোরআনে হাফেজ। আমাকে ওমরাহ করতে পাঠাতে তারও অনেক স্বপ্ন ছিল। কিন্তু অভাব-অনটনের কারণে সাধ থাকলেও সাধ্য ছিল না। আলহামদুলিল্লাহ এবিজি বসুন্ধরার চেয়ারম্যানের কারণে সে সুযোগ হলো। এজন্য ওনার এবং ওনার পরিবারের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ। তারা যেন এ উদ্যোগ চালু রাখেন, এ কামনা করি।
এর আগে, দ্বিতীয় কাফেলাটি ১১ জানুয়ারি সৌদি আরবের মক্কা-মদিনায় পবিত্র ওমরাহ হজ পালন শেষে ৩৩ জন মুসল্লি দেশে আসেন।
এছাড়াও সৌদি আরবের উদ্দেশে ওমরাহ হজের প্রথম কাফেলাটি রওনা হয় গত ২৬ ডিসেম্বর। এ উপলক্ষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে এক দোয়া মাহফিল আয়োজনে করা হয়। একই সঙ্গে ওমরাহ যাত্রা উপলক্ষে সব ওমরাহ যাত্রীকে শুকনো খাবারসহ সৌজন্য উপহার দেওয়া হয়। পরে কাফেলাটি এবিজি বসুন্ধরার চেয়ারম্যান সায়েম সোবহান আনভীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে।